শবে বরাতে পটকা ফোটানো হারাম

প্রকাশঃ মে ১২, ২০১৭ সময়ঃ ১:১৮ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১:১৮ পূর্বাহ্ণ

ইসলাম শান্তির ধর্ম; এটা শুধু কথার কথা নয়। এর অসংখ্য প্রমাণও ইসলামের ইতিহাসে রয়েছে। কারো ক্ষতি করে কোনো কাজ করা ইসলাম কখনও সমর্থন করে না। কেউ হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে, কারও ক্ষতি না করে বরং আল্লাহর উপর নির্ভর করে ধৈর্য ধরলে, সহ্য করলে; ইসলামে এমন মানুষের সম্মান অনেক উপরে।

লাইলাতুল বরাত অথবা  শবে বরাতের রাতে যারা পটকা ফোটায়; তাদেরকে বাধা দেওয়ার কি কেউ নেই? তারা কেন জানে না; ইসলামে এ ধরণের কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। শান্ত পরিবেশ বজায় রাখা এবং স্থির থাকা একজন মুসলিমের প্রধান দায়িত্ব।

বর্জনীয়: আমাদের দেশে শবে বরাত এলে পটকা ফোটানো, কবর ও মাজারে মোমবাতি-আগরবাতি জ্বালানো, আলোকসজ্জা করা ইত্যাদি রেওয়াজ বেশ পুরোনো। শব্দদূষণ, পরিবেশ দূষণ এবং অপচয় ইত্যাদি কারণে এগুলো ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম। অনেকে দল বেঁধে সারা রাত ঘুরে বেড়ায়, গল্প করে, আড্ডা মেরে রাত পার করে দেন। একটি পুণ্যময় রাতকে এভাবে অবহেলায় নষ্ট করা মোটেও উচিত নয়। অনেকে আবার সারা রাত নফল নামাজ পড়ে, ইবাদত-বন্দেগি করে ঘুমিয়ে যান। আর ফজরের ফরজ নামাজ তাদের কাজা হয়ে যায়।  মহান আল্লাহর দরবারে লক্ষ বা কোটি রাকাত নফল নামাজও এক রাকাত ফরজ নামাজের সমান বিবেচিত হবে না। সুতরাং নফল ইবাদত ততটুকুই করা উচিত, যতটুকু করলে ফরজ নামাজ বাদ যায় না।

ভুল ধারণা:  শবে বরাতের রাতে প্রথম কোরআন নাজিল হয়েছিল এবং এ রাতে আগামী এক বছরের ভাগ্য লেখা হয় বলে অনেকে বিশ্বাস করেন। এটা সম্পূর্ণভাবে পবিত্র কোরআনের ও  হাদিসবিরোধী। তাই এমন বিশ্বাস অবশ্যই বাদ দিতে হবে। পবিত্র কোরআন সর্বপ্রথম নাজিল হয়েছিল কদরের রাতে। আর মহান আল্লাহ সমগ্র সৃষ্টি ভাগ্য লিপিবদ্ধ করেছেন জগৎ সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর আগে।

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

April 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
20G